Monday, November 12, 2018

ধারাবাহিক গোয়েন্দা কাহিনী-SID রবিন


                          SID  রবিন

এতদিন তো আপনারা ফেলুদা, ব্যোমকেশ বক্সী, কিরীটি রায়, শার্লক হোমস, CBI, CID, RAW-এর গোয়েন্দা কাহিনী শুনেছেন ।
তো এবার আপনাদের এক ভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা কাহিনী উপহার দিতে চলেছি  যা বাকি সব গোয়েন্দা কাহিনী থেকে ভিন্নরকম ।


এই গোয়েন্দা কাহিনী তে আপনারা SID রবিন এর গোয়েন্দাগিরি দেখতে পাবেন, দেখতে পাবেন তাকে বিভিন্ন রোমাঞ্চকর ও ঝূকীপূর্ণ  কেস সলভ করতে।






SID এর মানে হল Secret Intelligence department । আর রবিন হল হল তার প্রধান গোয়েন্দা ।
SID সংস্থার মোট পাঁচজন গোয়েন্দার গোয়েন্দাগিরির কাহিনী আপনারা ধারাবাহিকভাবে জানতে পারবেন ।





আপনিও যদি এই ধরনের গোয়েন্দা কাহিনীতে ইন্টারেস্টেড হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন আমরা আপনাকে উপহার দিতে চলেছি কোন গল্পে সাজানো গল্প নয় বরঞ্চ সত্যিকারের জীবনের গল্প যা সত্যিকার গোয়েন্দা কাহিনী ।
তো আপনি কতটা গোয়েন্দা কাহিনী জানতে ইচ্ছুক তা কমেন্টে জানাবেন অবশ্যই ।


Saturday, November 10, 2018

রক্ত হিম করা ভয়ঙ্কর ভূতুড়ে গল্প- ভূতুড়ে হোস্টেল


                        ভূতুড়ে হোস্টেল


 স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে আমাকে শহরের স্কুলে ভর্তি হয়ে সেখানকার হোস্টেলের দারস্থ হতে হয় ।
এভাবেই ধীরে ধীরে আমি সেখানকার হোস্টেলে থাকার অভ্যস্ত হয়ে পড়ি এভাবে ।দেখতে দেখতে চার পাঁচটা মাস কেটে গেছে কোনো রকম কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি । হোস্টেলে সমস্ত ছেলেদের সাথে কমবেশি চেনা পরিচয় প্রায় বেশ ভালই হয়ে গেছিল ।
এরই মধ্যে এক প্রচন্ড গ্রীষ্মের দিনে একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে আমার সাথে ,যে এই ঘটনার পর থেকেই আমি বদলে গেছি । এবং এত ভয় পেয়েছি এতো ভয় পেয়েছে যে রাতে আর ঘুম আসে না সহজে।
সেই দিন আমাদের রুমের দুটি ছেলে বাড়ি চলে গেছিল তাই আমরা মোট তিনজন রুমে ছিলাম ।আমি রাহুল আর একটা ছেলে রাজু। এই তিনজন মিলে আমরা সেদিন রাতে প্রায় দশটা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ি। মোটামুটি রাত বারোটা নাগাদ আমার ঘুম ভেঙে যায় । তুমি শুনতে পাই যে আমাদের রুমে যে ছেলেটি আছে রাহুল তার প্রচন্ড জল তেষ্টা পেয়েছে সে এদিকে ওদিকে জল খুঁজছে। আমাকে বলছে -"জল আছে নাকি"। আমি বললাম -"দেখ বোতলে আছে" এই বলে আমি ঘুমিয়ে পরলাম।
আধা ঘন্টা পর আবার আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। এবার শুনতে পাচ্ছি ঘরের বাইরে থেকে রাহুল দরজা নক করছে , দরজা ঠক ঠক করছে , বলছে -"দরজা খুল দরজা খুল আমার প্রচন্ড জল তেষ্টা পেয়েছে তাড়াতাড়ি দরজা খুল"। কিন্তু আমি তখন বুঝতে পারিনি যে রাহুল বাইরে  গেল কি করে আর বাইরে যদি যায় তাহলে দরজা লক করলো কে ? আমাদের রুমে অন্য যে ছেলেটি রাজু  আছে সে তো এত ঘুমায় যে তাকে লাথি মেরে নিচে ফেলে দিলেও তো সে বুঝতে পারবে না । আমি ঘুমের ঘোরে তখন সেটা ভাবতে পারিনি । দরজা খুলে দিলে রাহুল ভেতরে ঢুকে বলল -"বোতলে জল আছে নাকি আমার প্রচন্ড জল তেষ্টা পেয়েছে"। বোতল গুলো দেখলাম জল নেই শুধু একটা তে অল্প ছিল যেটা সে এক নিঃশ্বাসে খেয়ে ফেলে বলল -"আমার আরো জল দরকার আর জল নাই কি?" আমি বললাম -"বোতলগুলো নিয়ে নিচের ক্যান্টিনে যা সেখানে জল পাবি নিয়ে আসিস আমারও জন দরকার"। সে বোতল গুলো নিয়ে বেরিয়ে গেল কিন্তু সে যে সিঁড়ি দিয়ে নামছে নিচে তার কোন আওয়াজ আমি পাচ্ছি না । একটু পরই আমার মনে পড়লো আরে সে বাইরে গেল কি করে আর ভেতর থেকে দরজা লক করলো কে ? আমার সারা শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠলো প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম। আমি ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না।
অনেকক্ষন হয়ে গেল কিন্তু দেখছি রাহুল এখনও জল নিয়ে আসছে না । আমার মনে খটকা লাগলো এত দেরি হচ্ছে কেন রাহুলের জল নিয়ে আসতে ? তার কি কিছু হলো নাকি ? আমি এবার আমাদের রুমের রাজু নামের ছেলেটিকে ডাকতে শুরু করলাম কিন্তু তার ঘুম এতই গভীর যে তাকে তিন তিনটে লাথি মারার পর তাকে ঘুম থেকে জাগাতে সার্থক হলাম। তাকে জাগিয়ে সমস্ত কথা বলায়  সেও অবাক হয়ে গেল ।
এবার আমরা দুজনে নিচে নামলাম রাহুলকে খোঁজার জন্য । সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় মনে হচ্ছে ক্যান্টিনের কেন্ট থেকে জল পরছে।আমরা ক্যান্টিনে প্রবেশ করে দেখলাম রাহুল কোথাও নেই এবং কেন্ট থেকে সমানে জল পড়ে যাচ্ছে। আমরা গিয়ে কেন্ট তা বন্ধ করে দিলাম। পুরো ক্যান্টিন ভালো করে দেখলাম রাহুল কোথাও নেই । হঠাৎ আমারা কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম । কিন্তু আওয়াজটা কোথা থেকে আসছে , না আওয়াজটা বাথরুম থেকে আসছে। আমরা প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম এবার আমরা আস্তে আস্তে বাথরুমের দিকে এগোতে লাগলাম এগোতে এগোতে আওয়াজটা জোরালো হতে শুরু করল । এবার পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছি এটা রাহুলের আওয়াজ রাহুল আওরানি করছে কাতরানি করছে , কেঁদেই চলছে সমানে । আমরা এত ভয় পেয়েছি যে বাথরুমে ঢোকার সাহস পাচ্ছিনা । তবুও সাহস করে দুজনে হাতে হাত চেপে বাথরুমে ঢুকে লাইট টা দিলাম । লাইট দেওয়ার সাথে সাথে কান্নাটা বন্ধ হয়ে গেল। এবার আমরা আস্তে আস্তে নিম্ন কন্ঠে রাহুলকে ডাকছি -" রাহুল এই রাহুল কি হল তোর কি হল রাহুল" । রাহুলের কোন আওয়াজ পেলাম না । বাথরুমের দরজা গুলো ধীরে ধীরে প্রতিটাই খুলে দেখি কোথাও রাহুল নেই ।তাহলে একটু আগেই যে আওয়াজটা পাচ্ছিলাম সেটা কার আওয়াজ ছিল,রাহুল কোথায় ? আবার আওয়াজ টা পাচ্ছি তবে এবার ক্যান্টিন থেকে।  এবার সে ছটপট করছে প্রচন্ড ছটপট করছে আমরা তাড়াতাড়ি বাথরুম থেকে বেরিয়ে দৌড়ে ক্যান্টিনে প্রবেশ করলাম । ক্যান্টিনে প্রবেশ করে দেখি যে কেন্ট থেকে সমানে জল পরছে , পুরো ক্যান্টিনে কেউ নেই কোনো আওয়াজ নেই। ক্যান্টিনের যে বড় ডিয়ারগুলো ছিল সেটা দেখছি একটা অনেকটা খোলা আছে। আমরা আবার জলের পাইপ টা বন্ধ করে দিলাম । পুরো ক্যান্টিনে যদি কেউ নেই তাহলে কে  কেন্টটা আবার  চালু করেছিল ? আবার ডয়ারটাই বা কে খুলল ?আমরা প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেছি এত ভয় পেয়েছি এত ভয় পেয়েছি যে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যাব ।রাজুও এত ভয় পেয়েছে  যে সে বারবার আমাকে বলছে -"চল চল রাহুল কে খুঁজতে হবে না নিজের প্রাণ বাঁচা চল"। আমরা রাহুলকে আর না খুঁজে এক দৌড়ে ঘরে গিয়ে ঢুকে দেখি রাহুল তার নিজের বিছানায় শুয়ে আছে। আমি এত ভয় পেয়েছি এত ভয় পেয়েছি সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই।
পরদিন সকালে যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি আমি নিজের বিছানায় শুয়ে আছি। দেখছি রাহুল, রাজু আগে থেকেই উঠে বসে আছে । আমি তাদের জিজ্ঞাসা করছিলাম -"এ রাহুল কী হয়েছিল কাল তোর, কেন এমন করছিস"  সে বলল - "কি আবার হয়েছিল কিছুই তো হয়নি"। আমি বললাম "কেন তুই যে ক্যান্টিনে জল আনতে গিয়ে ছিলিস তারপর কি হয়েছিল"? সে বললো "পাগল হয়েছিস নাকি আমি গতরাতে তো উঠি নাই ঘুম থেকে"। আমি বললাম "আমি পাগল না তুই রাজু কে জিজ্ঞাসা কর রাজু তো কাল আমার সাথে উঠেছিল গত রাতে"। রাজু বলল "তুমি সত্যিই পাগল হয়েছিস নাকি আমি আবার কোথায় উঠেছিলাম কালকে"।


Thursday, November 8, 2018

রক্ত হিম করা ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প - রাত সাড়ে দশটার ট্রেন(ভূতুড়ে স্টেশন)

     রাত সাড়ে দশটার ট্রেন (ভূতুড়ে স্টেশন)    


আমিও আর কয়েকটা সাধারণ মানুষের মতো ভূতে বিশ্বাস করতাম না। ভাবতাম সব মনের ভুল ভূত বলে কিছু হয় না। কিন্তু আমার সমস্ত বিশ্বাস-অবিশ্বাস বদলে দেয় সেই একটি রাত ।সেই রাতের পর থেকে আমার দৃষ্টিকোণ বদলে গেছে ।সেই রাতের পর থেকে আজও আমি সাসপেন্সে আছি,আজও আমি বুঝতে পারছি না সেদিন কেন আমার সাথে এমন ঘটেছিল ।

সেটি ছিল 19  সেপ্টেম্বর 2016 এর রাত বারটা  ছিল সোমবার ।
বলে রাখা ভালো আমি বাঙ্গালবাড়ি SBI ব্যাংকে ম্যানেজারের পদে চাকরি করি ,তবে আমার বাড়ি বাঙ্গালবাড়ি থেকে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার দূরে রায়গঞ্জে। তাই প্রতিদিন সকাল 10 টার ট্রেনে আমাকে রায়গঞ্জ থেকে বাঙালবাড়িতে আসতে হয় এবং রাত সাড়ে 10 টার ট্রেনে আবার বাঙ্গালবাড়ি থেকে রায়গঞ্জে অর্থাৎ বাড়িতে ফিরতে হয়। এভাবে দেখতে দেখতে চার চারটি বছর কেটে গেছে কিছু অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হয়নি। কিন্তু সেই রাত, সেই দিনের রাত আমার জীবন বদলে দেয় ।সেই দিনের রাত অর্থাৎ 19 শে সেপ্টেম্বর 2016 সোমবারের আগে শনিবার হাফ অফিস থাকায় বিকালের দিকেই আমি গাড়ি করে রায়গঞ্জে ফিরে যাই । সেদিন আর রাত সাড়ে 10 টার ট্রেনে বাড়ি ফেরা হয়নি । রবিবার অফিস ছুটি ছিল তাই পর পর দুই দিন রাত সাড়ে 10 টার ট্রেনে করে বাড়ি ফেরেনি। 

তারপরে সোমবার অর্থাৎ 19 শে সেপ্টেম্বর 2016 তারিখে অফিস শেষে টোটো করে স্টেশনে পৌছালাম।
মোবাইলটা বার করে সময় দেখি ঘড়িতে ১০.২৫ বাজে।
স্টেশনে উঠেই একটা অন্যরকম অনুভূতি হলো। এত দিনের চেনা স্টেশনকে আজ অন্য রকম মনে হল। চারদিক দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোন লোকজন নেই ধূধূ ফাকা প্লাটফর্ম।  শুধুমাত্র চায়ের দোকানে বসে একটি লোক হিসাবে ব্যস্ত । কোন দিকে কোন লোক দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ আমার মনে খটকা লাগলো । প্রতিদিন তো আমি এই  স্টেশন দিয়েই যাতায়াত করি। প্রতিদিন তো বহু লোকের হট্টগোল থাকে ।অন্তত 10-15 জন লোক ট্রেনে উঠে এবং 10-15 জন লোক ট্রেন থেকে নামে । কিন্তু হঠাৎ আজ পুরো স্টেশন ফাঁকা কেন ? আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে টিকিট কাউন্টারে দাঁড়ালাম। টিকিট মাস্টার আমাকে টিকিট দিয়ে জানালো যে ট্রেন আধাঘন্টা লেট আছে। আমি টিকিট নিয়ে একটি ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসে পড়লাম । সারাদিন কাজের প্রচন্ড চাপ থাকায় পেপারটি পড়া হয় নাই তাই আমি পেপারটি বার করে পড়তে শুরু করলাম কিন্তু কোনো রকম কোনো মজাদার বা ইন্টারেস্টিং খবর না পেয়ে পেপারটি রেখে দিলাম ।

হঠাৎ পিছন থেকে একটা মেয়ের দৌড়াতে দৌড়াতে এসে প্রচন্ড উচ্চকণ্ঠে আমাকে জিজ্ঞাসা করল- "আচ্ছা রাত সাড়ে দশটার ট্রেনটা কি চলে গেছে?"আমি তার কথায় হঠাৎ চমকে গেছিলাম আমি তাকে শান্ত গলায় বললাম আপনি শান্ত হোন ট্রেন আধাঘন্টা লেট আছে।
তিনি তখন হাত ছেড়ে বসলেন আমি আমার ব্যাগের ভেতর থেকে জলের বোতলটা বার করে তাকে দিলাম তিনি এক নিঃশ্বাসে সমস্ত জল খেয়ে ফেললেন আমি এতে কিছু মনে করলাম না।এবার আমি তাকে ভালো করে দেখলাম সে একজন কুড়ি বাইশ বছরের সুন্দরী যুবতী মহিলা পরনে লাল চুড়িদার ও সাদা ওড়না। কথায় কথায় জানতে পারলাম তার বাড়ি বাঙ্গালবাড়ির পাশের গ্রাম কমলপুরে ।সে একটি ছেলেকে ভালবাসে তাই আজ সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে ছেলেটির সাথে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ।কিন্তু স্টেশনে এসে তার প্রেমিককে এখনো না আসতে দেখে সে খুবই চিন্তিত ।কথায় কথায় সেও জানতে পারে যে আমি রায়গঞ্জে থাকি তাই সে আমার কাছে একটি অনুরোধ করে যে আজকে রাতটা আমি যেন তাদের রায়গঞ্জে থাকার ব্যবস্থা করেদি। আমি তাতে রাজি হয়ে যাই।

তারপর সেই মেয়েটি সেখান থেকে উঠে চলে যায় তার প্রেমিক কে খোঁজার জন্য। আমাকেও  বসে থেকে থেকে বোরিং লাগছিল তাই আমি উঠে গিয়ে চায়ের দোকানে যে লোকটি বসে ছিল তার কাছে গিয়ে বসলাম ।কথায় কথায় জিজ্ঞেস করেই ফেললাম - "আচ্ছা আমি তো প্রতিদিন এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করি প্রতিদিন তো কমপক্ষে 10 15 জন লোক ওঠে 10-15 জন লোক নামে কিন্তু হঠাৎ আজ পুরো স্টেশন থাকা কেন"? তিনি বললেন -"কেন আপনি কাল আসেনি"? আমি বললাম-"কেন কি হয়েছিল গতকাল"? তিনি বললেন -" গত শনিবার বাঙ্গালবাড়ি পাশের গ্রাম কমলপুরের একটি কুড়ি বাইশ বছরের যুবতী মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিল তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু ট্রেন চলে আসলেও যখন মেয়েটি দেখছে যে তাঁর প্রেমিক আসছে না তখন রাগ ক্ষোভ ও অভিমানে সেই ট্রেনেই ঝাঁপ দিয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছিল । তাই গত রবিবার বহুলোক ভয় স্টেশনে আসেনি মাত্র দু একজন লোক এসেছিল তার মধ্যে একটি লোক একটি মেয়েকে দেখে ছিল । সেই কুড়ি বাইশ বছরের মেয়েটিকে আসলে সেই লোকটি দেখেছিল এবং সেই মেয়েটি সেই লোরটির সাথে কথা বলে এবং রাত সাড়ে দশটার ট্রেনটা যখন চলে আসে তখন সেই মেয়েটি অর্থাৎ মেয়ের আত্মাটি সেই লোকটিকে ঠেলে দিয়েছিল সেই ট্রেনে । ফলে গত রবিবার একটি লোক ট্রেন নে মারা গিয়েছিল। পরপর দু'দিন ট্রেনের মধ্যে আত্মঘাতী ঘটনা ঘটায় লোক  আর আজ আর ভয়ে স্টেশনে আসেনি"- এবং সাথে সাথে তিনি আমার হাত থেকে প্যাপারটি নিয়ে গত দু'দিনের ঘটে যাওয়া খবর দুটি আমাকে দেখিয়ে দিলেন । এবার যা দেখলাম তা দেখে আমার সারা শরীরে কাঁপুনি দিয়ে উঠেছে , রক্ত হিম হয়ে গেছে ভয়ে আমি কথা বলতে পারছি না মুখ শুকিয়ে গেছে আমি এক জায়গায় স্থির হয়ে গেছি আর নড়াচড়াও করতে পারছি না কারণ যে মেয়েটির ছবি আমি দেখতে পাচ্ছি সেটি আর সে কোন মেয়ে না সেটি সেই মেয়ে যার সাথে এতক্ষণ আমি কথা বলছিলাম । তারপর যে ছবিটি দেখলাম , গত রবিবারে যে লোকটি মারা গেছে সেই লোকটি আর কেউ না সেই লোক যিনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন যিনি আমাকে গত দু'দিনের ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত করলেন । আমি আর স্থির থাকতে পারছি না মনে হয় এই জ্ঞান হারাবো এই জ্ঞান হারাবো এত ভয় পেয়েছি এত ভয় পেয়েছি এমত অবস্থায় কানে একটা আওয়াজ আসলো - টটোওয়ালা বলে উঠলো-"স্যার স্টেশনে পৌঁছে গেছি" ।

তাহলে এটা কি স্বপ্ন ছিল এতক্ষণ কি আমি স্বপ্ন দেখছিলাম । এটা কি সত্যি স্বপ্ন ছিল । এত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার যে স্বপ্নের প্রতিটা দৃশ্য প্রতিটা কথা আজও আমার মনে আছে।  টোটো থেকে নেমে মোবাইলটা বার করে সময় দেখি 10:25 বাজে। ষ্টেশনে উঠতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো স্বপ্নের যা যা দেখেছিলাম যেমনটা দেখেছিলাম - পুরো স্টেশন ফাঁকা, চারিদিকে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোন লোকজন নেই শুধু ধূধূ ফাঁকা প্ল্যাটফর্ম এবং চায়ের দোকানে বসে আছে সেই লোকটি। সাথে সাথে পেপারটির কথা মনে পড়ল। ব্যাগ থেকে পেপারটি খুলে দেখলাম ঘটনা টা সত্যি গত দুদিন দুটি লোক মারা গেছিলো ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে  । আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেছি, সারা শরীর কাঁটা দিয়ে উঠেছে রক্ত হিম হয়ে গেছে  আমি নড়তে পারছি না একই জায়গায় অচল হয়ে দাঁড়িয়ে আছি । এমন সময় আমি বুঝতে পাড়ি যে  কেউ যেন আমার পিছন থেকে প্রচন্ড জোরে দৌড়ে আসছে । আমার  আর বুঝতে বাকি থাকে  না যে  এটা আর কেউ না এটা সেই মেয়েটা, আমাকেও সে মেরে  দিবে । আমি সরে পড়ার প্রচন্ড চেষ্টা করছি  কিন্তু আমি সরতে পাড়ছি না ভয়ে । তারপর আর কিছু মনে নেই । পরের দিন সকালে যখন আমার জ্ঞান ফিরে দেখি আমি বাঙ্গালবাড়ির হসপিটালের বেডে শুয়ে আছি । সেই দিনের পর থেকে আজও আমাকে একটা ভয় তাড়া করে বেড়ায়।  আজও আমি বুঝতে পারছি না সেদিন কেন আমার সাথে এমন ঘটেছিল , আজও আমার মনে হয় কেউ আমাকে পিছন থেকে ডাকছে, মনে হয় আমার পিছন পিছন কেউ দৌড়ে আসছে ।একটা ভয় সব সময়ই তাড়া করে বেড়ায় সেদিনের পর থেকে আমি পুরোই বদলে গেছি। বদলে গেছে আমার দৃষ্টিকোণ , আমার বিশ্বাস অবিশ্বাস।

                                                      - সাহাদাত হোসেন

Sunday, November 4, 2018

New Bengali blog

Welcome to our website www.ADVENTURE 10.COM


আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই । আমি রবিন আজ থেকে শুরু করলাম ব্লগিং।


এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রহস্য  রোমাঞ্চকর ভুতুড়ে অদ্ভুত গল্প পড়তে পারবেন এছাড়াও নতুন নতুন তথ্য জানতে পারবেন । জেনারেল নলেজ কুইজ ধাধা জিকে  সাথে সাথে বিজ্ঞানের অদ্ভুত আবিষ্কার বিজ্ঞান সম্পর্কে অদ্ভুত তথ্য রহস্যময় রোমাঞ্চকর তথ্য এই সবই আপনার আমাদের চ্যানেলে দেখতে পাবেন এছাড়াও মোটিভেশনাল কনটেন্ট উক্তি বই গল্প ছড়া এছাড়াও থাকবে জোকস কৌতুক কমেডি তো আপনারা সবাই আমাদের সাথেই থাকুন এই ধরনের রোমাঞ্চকর সব তথ্য পেতে আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য এই ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকে তাই আমাদের ওয়েবসাইটের নাম ADVENTURE 10 অর্থাৎ রোমাঞ্চকর 10

Welcome to our website www.ADVENTURE 10.COM


আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই । আমি রবিন আজ থেকে শুরু করলাম ব্লগিং।


এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রহস্য  রোমাঞ্চকর ভুতুড়ে অদ্ভুত গল্প পড়তে পারবেন এছাড়াও নতুন নতুন তথ্য জানতে পারবেন । জেনারেল নলেজ কুইজ ধাধা জিকে  সাথে সাথে বিজ্ঞানের অদ্ভুত আবিষ্কার বিজ্ঞান সম্পর্কে অদ্ভুত তথ্য রহস্যময় রোমাঞ্চকর তথ্য এই সবই আপনার আমাদের চ্যানেলে দেখতে পাবেন এছাড়াও মোটিভেশনাল কনটেন্ট উক্তি বই গল্প ছড়া এছাড়াও থাকবে জোকস কৌতুক কমেডি তো আপনারা সবাই আমাদের সাথেই থাকুন এই ধরনের রোমাঞ্চকর সব তথ্য পেতে আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য এই ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকি তাই আমাদের ওয়েবসাইটের নাম ADVENTURE 10 অর্থাৎ রোমাঞ্চকর 10 ।


ধারাবাহিক গোয়েন্দা কাহিনী-SID রবিন

                          SID   রবিন এতদিন তো আপনারা ফেলুদা, ব্যোমকেশ বক্সী, কিরীটি রায়, শার্লক হোমস, CBI, CID, RAW-এর গোয়েন্দা কাহি...